নিয়ন্ত্রিত চলক বলতে কী বুঝ Composition

নিয়ন্ত্রিত চলক বলতে কী বুঝ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নিয়ন্ত্রিত চলক বলতে কী বুঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নিয়ন্ত্রিত চলক কী।

নিয়ন্ত্রিত চলক বলতে কী বুঝ
নিয়ন্ত্রিত চলক বলতে কী বুঝ

নিয়ন্ত্রিত চলক বলতে কী বুঝ

  • অথবা, নিয়ন্ত্রিত চলক কী?
  • অথবা, নিয়ন্ত্রিত চলক কাকে বলে?

উত্তর ভূমিকা : সামাজিক গবেষণায় চলক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয়। এটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সবচেয়ে ক্ষুদ্র এবং তাৎপর্যপূর্ণ উপাদান । এটি এমন একটি প্রত্যয় যা কোনো ঘটনা বা বিষয়ের ওপর প্রভাবকের কাজ করে । 

বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন চলকের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। অনুসন্ধান কাজে উপস্থিত চলকগুলোকে বিভিন্ন আঙ্গিকে বিবেচনা করা হয় । যার কারণে চলককে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করে উপস্থাপন করা হয় ।

নিয়ন্ত্রিত চলক : একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষণে নিরপেক্ষ ও নির্ভরশীল চলক ছাড়াও আরও কিছু কিছু চলক উপস্থিত থাকে। গবেষক এসব আনুষাঙ্গিক চলককে নিয়ন্ত্রণ করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন যাতে করে পরীক্ষাধীন ঘটনায় স্বাধীন চলকের কর্মতৎপরতায় এদের কোনো প্রভাব মিশ্রিত না হতে পারে। 

কেননা এদের প্রভাব মিশ্রিত হয়ে পড়লে নির্ভরশীল চলকের ওপর নিরপেক্ষ চলকের আবশ্যম্ভাবী একক প্রভাব পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে পড়ে। এসব চলকের প্রভাব গবেষক বা বিজ্ঞানীরা নিয়ন্ত্রণে রাখেন বলে এদেরকে নিয়ন্ত্রিত চলক বলে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ফুসফুসের ক্যান্সারে মদ্যপানের প্রভাব পরীক্ষণে ব্যক্তির আনুষঙ্গিক ঘটনা যেমন শারীরিক সুস্থতা, ব্যক্তির অন্যান্য আসক্তি, অভ্যাস, জীবন প্রণালি এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ইত্যাদি চলকগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। 

যাতে পরীক্ষার আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত না হয়। মদ্যপানের একক প্রভাবের ফলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কেমন তা সঠিকভাবে নিরূপণ করার জন্য চলকগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় ।

এককথায়, যেসব চলক স্বাধীন ও নির্ভরশীল চলকের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে সেসব চলককে বলা হয় মধ্যবর্তী চলক। গবেষক এসব চলকের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে রাখেন বলে এদেরকে নিয়ন্ত্রিত চলক বলে অভিহিত করা হয় । গবেষণার ভাষায় নিয়ন্ত্রিত চলককে অন্তবর্তী চলকও বলা হয়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রকৃতিগত ভিন্নতা থাকলেও সামাজিক গবেষণার চলকের অবদান অপরিসীম। তবে চলক সর্বদা পরিবর্তনশীল। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পরম্পরায় তা ভিন্ন চরিত্রধর্মী হতে বাধ্য। 

একটা নাটকে যেমন বিভিন্ন চরিত্র থাকে তেমনি চলকেরও বিভিন্ন চরিত্র থাকে। একই চলক এক গবেষণায় স্বাধীন আবার অন্য গবেষণায় নির্ভরশীল। চলক বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের নির্দেশক যা গণসংখ্যা নিবেশনে কার্যকরী অবদান রাখে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ নিয়ন্ত্রিত চলক বলতে কী বুঝ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নিয়ন্ত্রিত চলক কাকে বলে। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post