তথ্য ও তত্ত্বের মধ্যকার সম্পর্ক আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো তথ্য ও তত্ত্বের মধ্যকার সম্পর্ক আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের তথ্য ও তত্ত্বের মধ্যকার সম্পর্ক সংক্ষেপে লেখ ।
তথ্য ও তত্ত্বের মধ্যকার সম্পর্ক আলোচনা কর |
তথ্য ও তত্ত্বের মধ্যকার সম্পর্ক আলোচনা কর
উত্তর ভূমিকা : সামাজিক গবেষণার দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো তথ্য ও তত্ত্ব। গবেষণা নকশায় এ দুই বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয় । তথ্য সংগ্রহের মধ্য দিয়ে গবেষণার প্রাথমিক পর্ব শুরু হয় এবং তত্ত্বের মাধ্যমে তা শেষ হয় ।
তথ্যের ভিত্তিতে অনেক সময় নতুন নতুন তত্ত্ব দাঁড় করানো হয়। আবার বিপরীতক্রমে তত্ত্বের আলোকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা ও ভবিষ্যৎ উক্তি তত্ত্ব হতে উদ্ভূত।
তথ্য ও তত্ত্বের মধ্যকার সম্পর্ক : নিম্নে তথ্য ও তত্ত্বের মধ্যকার সম্পর্ক সংক্ষেপ উল্লেখ করা হলো :
১. পূর্বানুমান গঠন ও ভবিষ্যদ্বাণী : তত্ত্ব একটি বা একগুচ্ছ নির্দিষ্ট তথ্যের আলোকে পূর্বানুমান গঠন করে ভবিষ্যদ্বাণী প্রদান করে থাকে । এক্ষেত্রে তত্ত্বে কতিপয় শর্ত বা বিকল্প সন্নিবেশিত করা হয় । তথ্য সম্পর্কে উপস্থাপিত এসব শর্তের উপস্থিতি ঘটলে তার ফলাফল কী হবে তা সংশ্লিষ্ট তত্ত্বে স্পষ্টত উল্লেখ থাকে ।
২. ব্যাখ্যা প্রদান : তত্ত্বের মাধ্যমে তথ্যকে ব্যাখ্যা করা হয় বলে অসংখ্য তথ্য বেরিয়ে আসে। তাই তথ্যকে ব্যাখ্যা করতে হলে তত্ত্বের প্রয়োজন হয়। তত্ত্বের মাধ্যমে তথ্যকে ব্যাখ্যা করে প্রাঞ্জল করা হয়। পক্ষান্তরে, অনেক দুর্বোধ্য তত্ত্বে বহুসংখ্যক সাধারণ ধারণার সংশ্লিষ্টতা স্থাপন করা হয় ।
৩. তথ্য সংক্ষিপ্তকরণ : তত্ত্বের প্রধান কাজ হলো তথ্যের সারবস্তুকে নির্দেশ করা। তত্ত্ব তথ্যের মার্জিত, সংশোধিত এবং সময়োপযোগী অংশের ধারণা করার পরামর্শ প্রদান করে। তবে তথ্য সংক্ষিপ্ত করার ক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করা হয়। যাতে তথ্যের মূলধারা বিচ্যুত না হয় ।
৪. তথ্য তত্ত্বের জন্মদাতা : ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, আকস্মিকভাবে তথ্য হতে তত্ত্বের আবির্ভাব ঘটেছে। নতুন নতুন তাত্ত্বিক বিকাশে তথ্যের গুরুত্ব তাই অপরিসীম। একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সাহায্যে যেকোনো গবেষক তত্ত্ব নির্মাণ করতে পারেন। তবে তত্ত্ব নির্মাণের জন্য দরকার অনুসন্ধানী দৃষ্টি এবং সৃজনশীল প্রতিভা ।
৫. তথ্য তত্ত্বকে ব্যাখ্যা করে : দিন বদলের সাথে সাথে নতুন নতুন তথ্য আবির্ভূত হয়। এসব তথ্যই তত্ত্বের পরিবর্তনে হাতছানি দেয় । তথ্যের আলোকে তত্ত্বকে পুনর্গঠন, সংযোজন ও পরিবর্ধন করা যায়। অনেক দুর্বোধ্য তথ্যের মাধ্যমে সহজ রূপে উপস্থাপন করা যায় ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, তত্ত্ব ও তথ্য একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তথ্য ও তত্ত্ব উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা রয়েছে। এদের মধ্যে যেমন নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে তেমনি পার্থক্যও রয়েছে। সাধারণভাবে তত্ত্বকে অবাস্তব ও কল্পনাধর্মী মনে হয়।
তবে তথ্য কল্পণাধর্মী নয়। বাস্তব অবস্থার বাহ্যিক রূপই হলো তথ্য। অনেক ক্ষেত্রে তথ্যের বিচিত্রতা থাকতে পারে সামাজিক গবেষণায় তথ্য ও তত্ত্ব দুই-ই কার্যকর ভূমিকা পালন করে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ তথ্য ও তত্ত্বের মধ্যকার সম্পর্ক আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম তথ্য ও তত্ত্বের মধ্যে কী সম্পর্ক? বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।