প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্যসমূহ কী Composition

প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্যসমূহ কী

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্যসমূহ কী জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের  একটি ভালো প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্যাবলি উল্লেখ কর।

প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্যসমূহ কী
প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্যসমূহ কী

প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্যসমূহ কী

  • অথবা, একটি ভালো প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্যাবলি উল্লেখ কর ।
  • অথবা, প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর ।

উত্তর ভূমিকা : বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পরিচালিত গবেষণার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো প্রত্যয় । কোনো বিজ্ঞানকে জানতে হলে উক্ত বিজ্ঞানে ব্যবহৃত প্রত্যয়গুলোর অর্থ জানা আবশ্যক । 


কেননা কোন শব্দ কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে তা পূর্বেই পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করা না হলে প্রকৃত ধারণাকে সঠিকভাবে আত্মস্থ করা যায় না। 

সামাজিক বিজ্ঞানে ব্যবহৃত ধারণা বা প্রত্যয়গুলো সাধারণত কয়েক ধরনের হয়ে থাকে ।প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্যসমূহ : প্রত্যয়কে সমাজ গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে সমাজ গবেষকগণ মনে করেন । এটি একটি মৌলিক বিষয় । তবে প্রত্যয়ের কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। 

নিম্নে প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো :

১. প্রত্যয় কোনো বিষয়ের মূল : প্রতিটি বিষয়েরই একটি ভিত্তি বা মূল থাকে। প্রত্যয় হচ্ছে গবেষণার একটি অপরিহার্য ও মৌলিক বিষয় । প্রতিটি বিষয়ই এক একটি প্রত্যয় ।

২. সামষ্টিক অভিজ্ঞতা : সাধারণত প্রত্যয় সামষ্টিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে। প্রত্যয় হচ্ছে এমন একটি বিষয় যা প্রতিষ্ঠিত, পরীক্ষিত ও বহুল প্রচলিত। প্রতিটি প্রত্যয়ই বিশেষ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে থাকে ।

৩. সুস্পষ্টতা ও সুনির্দিষ্টতা : একটি প্রত্যয়কে অবশ্যই সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট হতে হবে। প্রত্যয়ের স্পষ্টতা বলতে এর অভিজ্ঞতাবাদী সম্পৃক্ততা এবং পরিমাণের দক্ষতাকে বুঝায়। যদিও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতো স্পষ্টতা ও সুনির্দিষ্টতা সামাজিক বিজ্ঞানে অর্জন করা সম্ভব নয় ।

৪. সংক্ষিপ্ততা : প্রত্যয় অবশ্যই সংক্ষিপ্ত হবে। কারণ অর্থপূর্ণ প্রতিটি বিষয়ই প্রত্যয় হিসেবে পরিগণিত। তাই প্রত্যয় সংক্ষিপ্ত হওয়ায় বাঞ্ছনীয় ।

৫. বহুমুখী অর্থবহতা : প্রত্যয় একটি সংক্ষিপ্ত বিষয় সত্য কিন্তু এর রয়েছে অর্থগত বহুমুখিতা বা বৈচিত্র্য । একটি প্রত্যয় কখনও কোনো বিষয়ের একটি স্বাভাবিক অর্থ বহন করে না বরং বিশেষ এবং তাৎপর্যপূর্ণ অর্থও বহন করে থাকে। তাই প্রত্যয়ের অবশ্যই Multiple Meaning বা বহুমুখী অর্থবহতা থাকতে হবে ।

৬. উদ্দেশ্যের সাথে সংগতি : প্রত্যয় একটি সম্পূর্ণ বা পরিপূর্ণ বিষয়। প্রত্যয়ের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, বৈশিষ্ট্য প্রভৃতি বিদ্যমান থাকে। তাই প্রত্যয়কে অবশ্যই উদ্দেশ্যের সংগতিপূর্ণ হতে হবে। উদ্দেশ্যের সাথে সংগতিপূর্ণ না হলে সেটিকে প্রত্যয় পদবাচ্য বিবেচনা করা যাবে না।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ধারণা বা প্রত্যয় হলো সামাজিক গবেষণার প্রাণস্বরূপ। কিন্তু প্রত্যয়ের সঠিক ব্যবহার ছাড়া সামাজিক গবেষণা স্বার্থক হতে পারে না। 


তাই প্রত্যয়কে উপরিল্লিখিত শ্রেণিতে বিভক্ত করে সঠিক প্রত্যয় ব্যবহার করা হয়। মূলত সমাজবিজ্ঞানে কোনো বিষয় সম্পর্কে তত্ত্ব গঠন, তত্ত্ব যাচাই বা পূর্বানুমান যাচাইয়ে প্রত্যয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্যসমূহ কী

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম প্রত্যয়ের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post