প্রত্যয় কত প্রকার ও কী কী Composition

প্রত্যয় কত প্রকার ও কী কী

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো প্রত্যয় কত প্রকার ও কী কী জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের প্রত্যয় কত প্রকার ও কী কী ।

প্রত্যয় কত প্রকার ও কী কী
প্রত্যয় কত প্রকার ও কী কী

প্রত্যয় কত প্রকার ও কী কী

উত্তর ভূমিকা : বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পরিচালিত গবেষণার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো প্রত্যয়। কোনো বিজ্ঞানকে জানতে হলে উক্ত বিজ্ঞানে ব্যবহৃত প্রত্যয়গুলোর অর্থ জানা আবশ্যক । 


কেননা কোন শব্দ কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে তা পূর্বেই পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করা না হলে প্রকৃত ধারণাকে সঠিকভাবে আত্মস্থ করা যায় না। সামাজিক বিজ্ঞানে ব্যবহৃত ধারণা বা প্রত্যয়গুলো সাধারণত কয়েক ধরনের হয়ে থাকে ।

" প্রত্যয় বা ধারণার প্রকারভেদ : যেসব শব্দ, বাক্য বা বাক্যসমষ্টি দ্বারা কোনো নির্দিষ্ট বিষয়কে সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করা হয় তাকে প্রত্যয় বা ধারণা বলে। অন্যকথায়, কোনো বিষয় সম্পর্কে সংকেত বা ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের নিকট বোধগম্যরূপে তুলে ধরাই হলো ধারণা বা প্রত্যয় । 

প্রত্যয় প্রধানত দুই প্রকার। নিম্নে প্রত্যয়ের প্রকারভেদগুলো তুলে ধরা হলো : 

মূর্ত প্রত্যয় : সাধারণত যেসব প্রত্যয় প্রকাশিত বা মূর্তমান তাকে মূর্ত প্রত্যয় বলে। অন্যকথায়, যেসব প্রত্যয়কে পর্যবেক্ষণ করা যায়, ধরা বা ছোঁয়া যায় এবং যার আকার, আকৃতি ও অবস্থান আছে তাই মূর্ত প্রত্যয় । 

যেমন— বই, খাতা, কলম, উদ্ভিদ, প্রাণী ইত্যাদি । এসব প্রত্যয় খুব সহজেই মানুষ চিনতে পারে। এ ধরনের প্রত্যয় সাধারণত বস্তুবাচক হয়ে থাকে। 

বিমূর্ত প্রত্যয় : যেসব প্রত্যয় প্রকাশিত বা মূর্ত নয় তাই বিমূর্ত প্রত্যয় । সাধারণত যেসব ধারণা বা প্রত্যয়কে ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না, শুধু অনুভব করা যায় তাকে বিমূর্ত প্রত্যয় বলে। এ ধরনের প্রত্যয় সাধারণত অবস্তুবাচক হয় । 

যেকোনো ধরনের গুণ বা বিশেষ বৈশিষ্ট্যবাচক প্রত্যয়কে বিমূর্ত প্রত্যয়ের অন্তর্ভুক্ত করা যায়। যেমন— আবেগ, অনুভূতি, নীতি নৈতিকতা, ভালোবাসা, সাহস, সংহতি, সমাজ, দল, শ্রেণি প্রভৃতি। সমাজবিজ্ঞানে সাধারণত বিমূর্ত প্রত্যয়ের ব্যবহার বেশি হয় । 

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ধারণা বা প্রত্যয় হলো সামাজিক গবেষণার প্রাণস্বরূপ । কিন্তু প্রত্যয়ের সঠিক ব্যবহার ছাড়া সামাজিক গবেষণা স্বার্থক হতে পারে না। 


তাই প্রত্যয়কে উপরিল্লিখিত শ্রেণিতে বিভক্ত করে সঠিক প্রত্যয় ব্যবহার করা হয়। মূলত সমাজবিজ্ঞানে কোনো বিষয় সম্পর্কে তত্ত্ব গঠন, তত্ত্ব যাচাই বা পূর্বানুমান যাচাইয়ে প্রত্যয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ প্রত্যয় কত প্রকার ও কী কী

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম প্রত্যয় কত প্রকার ও কী কী। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post