সামাজিক গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা উল্লেখ কর Composition

সামাজিক গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা উল্লেখ কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সামাজিক গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সামাজিক গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা উল্লেখ কর।

সামাজিক গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা উল্লেখ কর
সামাজিক গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা উল্লেখ কর

সামাজিক গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা উল্লেখ কর

উত্তর ভূমিকা : সমাজ গবেষক নতুন তত্ত্ব গঠনে এবং নতুন তাত্ত্বিক চিন্তা উপস্থাপনে প্রচলিত জ্ঞানের সহায়তা নিয়ে থাকেন। আবার, তত্ত্ব নিজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য নিজস্ব ভিত্তিতে বিভিন্ন ভবিষ্যদ্বাণী ও নতুন চিন্তা প্রতিষ্ঠিত করে থাকে। 


গবেষণার বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্কিত তত্ত্ব নিয়ে গবেষক কাজ করে থাকেন। এছাড়াও তত্ত্ব বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

সামাজিক গবেষণায় তত্ত্বের অবদান :  নিম্নে সমাজ গবেষণায় তত্ত্বের অবদান আলোচনা করা হলো:

১. বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ : গবেষণার বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করা তত্ত্বের অন্যতম কাজ। এটি গবেষণার অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন চলকের মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক ব্যাখ্যা, সাধারণীকরণ ও বিধি প্রতিষ্ঠা করে। এসব চলকের মধ্যে ব্যক্তির বয়স, ওজন, উচ্চতা, আয় ব্যয় অন্যতম ।

২. তথ্য সংক্ষিপ্তকরণ : গবেষণাক্ষেত্র থেকে সংগ্রহীত তথ্য প্রথমে এলোমেলো ও বিশালাকারে থাকে। তত্ত্ব এসব তথ্যকে সংক্ষিপ্তকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সুবিন্যস্ত সঠিক গবেষণার স্বার্থে সংগৃহীত তথ্যকে সুশৃঙ্খল ও পদ্ধতিগতভাবে সংক্ষিপ্তাকারে প্রকাশ করতে হয়। 

তত্ত্ব পর্যবেক্ষণভিত্তিক সাধারণীকরণ ও ঘটনা মধ্যস্থিত বিভিন্ন অবস্থার পরস্পরিক সম্পর্ক সাধারণীকরণের মাধ্যমে তথ্যের সংক্ষিপ্তকরণ করে থাকে।

৩. প্রকল্প গঠন : সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে প্রকল্প গঠন অন্যতম প্রধান একটি কাজ। এ কাজটি সম্পাদনের ক্ষেত্রেও তত্ত্ব সহায়তা করে থাকে। 

তথ্যভিত্তিক প্রমাণসাপেক্ষে প্রয়োজনে কোনো তত্ত্বকে সংশোধন করা বা বাদ দেওয়া হয় এবং নতুন তত্ত্ব নির্মিত হয় । তাই তত্ত্ব প্রকল্প গঠনে জোর প্রচেষ্টা চালায় ।

৪. শ্রেণিবিন্যাস ও কাঠামো নির্মাণ : তত্ত্ব ঘটনাবলির শ্রেণিবিন্যাস ও ধারণাগত কাঠামো নির্মাণে সহায়তা করে। বস্তুত জ্ঞানকে সুসংহতভাবে প্রকাশ করতে হলে একটি পদ্ধতি প্রয়োজন, যার মাধ্যমে শ্রেণিবিন্যাস ও সংক্ষিপ্তাকারে প্রকাশ করা সম্ভব। 

এ শ্রেণিবিন্যাসকৃত পদ্ধতির মাধ্যমে গবেষণার ধারণাগত কাঠামো নির্মাণ করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে তত্ত্বের আলোকে শ্রেণিবিন্যাস ও ধারণাগত কাঠামোর সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়।

৫. ভবিষ্যদ্বাণী প্রদান : তত্ত্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলি হলো ঘটনা বা গবেষণার বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বানুমানের ভিত্তিতে ভবিষ্যদ্বাণী প্রদান করা। 

তত্ত্বের সাহায্যে অতীত ঘটনাবলি বিজ্ঞানভিত্তিক বিচারবিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের সাথে যোগসূত্র স্থাপন করা হয়। এর ফলেই তত্ত্ব সামাজিক ঘটনা বা প্রপঞ্চের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। 

৬. সামাজিক গতিশীলতার ব্যাখ্যা : সমাজের ঘটনাবলি স্থির কোনো বিষয় নয়। সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে সামাজিক ঘটনাসমূহ পরিবর্তিত হয়। 

যার ফলে সমাজ গতিশীলতা লাভ করে। এক্ষেত্রে তত্ত্ব গতিশীলতার ধারণাকে সুস্পষ্ট করার লক্ষ্যে পুরাতন তত্ত্বের পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জনপূর্বক সমাজিক প্রপণ্যের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে থাকে -

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক গবেষণাকে বিজ্ঞানভিত্তিক, বাস্তবসম্মত ও অধিক কার্যকর করতে তত্ত্ব গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। 


সামাজিক ঘটনার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ও গবেষণার দিকনির্দেশনা তত্ত্ব থেকেই পাওয়া যায় । কোনো ঘটনার গুরুত্ব তুলে ধরে তত্ত্ব ঘটনাটিকে বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরে। সামাজিক গবেষণার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তত্ত্বের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সামাজিক গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা উল্লেখ কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সামাজিক গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা উল্লেখ কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post