তত্ত্বের বৈশিষ্ট্য সমূহ সংক্ষেপে লেখ Composition

তত্ত্বের বৈশিষ্ট্য সমূহ সংক্ষেপে লেখ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো তত্ত্বের বৈশিষ্ট্য সমূহ সংক্ষেপে লেখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের তত্ত্বের বৈশিষ্ট্যাবলি আলোচনা কর।

তত্ত্বের বৈশিষ্ট্য সমূহ সংক্ষেপে লেখ
তত্ত্বের বৈশিষ্ট্য সমূহ সংক্ষেপে লেখ

তত্ত্বের বৈশিষ্ট্য সমূহ সংক্ষেপে লেখ

  • অথবা, তত্ত্বের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর। 
  • অথবা, তত্ত্বের বৈশিষ্ট্যাবলি আলোচনা কর ।

উত্তর ভূমিকা : তত্ত্ব শব্দটি বিজ্ঞানভিত্তিক সামাজিক গবেষণায় একটি বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হলেও মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে রয়েছে এর বহুল ব্যবহার। যেকোনো ধরনের সামাজিক গবেষণা পরিচালনার অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে তত্ত্ব। তত্ত্বের রয়েছে কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য যা বিষয়টিকে ভিন্নতা প্রদান করেছে।


তত্ত্বের প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য : বিজ্ঞানের নিজস্ব তত্ত্ব থাকে, আর সে তত্ত্বের কতিপয় বৈশিষ্ট্যও থাকে। তত্ত্ব বাস্তব ঘটনা ও সম্পর্কের ওপর প্রতিষ্ঠিত। আলোচনার প্রেক্ষিতে সার্বিকভাবে তত্ত্বের যেসব বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে তা হলো :

১. ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ : তত্ত্ব একটি নির্ধারিত বিষয়ের ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণের যৌক্তিক ব্যাখ্যা প্রদান করে থাকে যা গবেষণাকে শক্ত ভিত্তি প্রদান করে থাকে ।

২. দিকনির্দেশক : তত্ত্ব গবেষণা ও গবেষকের জন্য দিকনির্দেশক ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ তত্ত্ব থেকেই গবেষক পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করতে পারে ।

৩. সংক্ষিপ্তকরণ ও সাধারণীকরণ : তত্ত্ব ঘটনা সংক্ষিপ্তকরণে ও সাধারণীকরণে ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ পর্যাপ্ত সংগৃহীত তথ্যকে তত্ত্বের আলোকে সাধারণীকরণ না করলে তা সঠিক ফলাফল লাভে বাধা সৃষ্টি করতে পারে ।

৪. ভবিষ্যদ্বাণীকরণ : তত্ত্বের মাধ্যমে ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব। কারণ গবেষক তত্ত্বের আলোকে গবেষণার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনুধাবন করে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেন ।

৫. তত্ত্বের যৌক্তিকতা : তত্ত্ব মানব চিন্তার কেন, কীভাবে, কোথায় কী, কখন ইত্যাদি প্রশ্নের যৌক্তিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করে । তত্ত্ব কোনো পরম সত্যের বিবৃতি নয়, এটি পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে যাচাইযোগ্য বিবৃতি প্রদান করে থাকে ।

৬. সামাজিক বাস্তবতা : তত্ত্ব সামাজিক বাস্তবতার একটি বিশেষ অংশ বা দিক সম্পর্কে ধারণা দেয় এবং জ্ঞানের বিকাশের সাথে সাথে তত্ত্বের পরিবর্তন পরিবর্ধন হতে পারে।


উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক গবেষণা পরিচালনার অন্যতম প্রধান ও কেন্দ্রীয় প্রত্যয় হচ্ছে তত্ত্ব। তত্ত্বের সহায়ক ভূমিকা ব্যতীত কোনো গবেষণাকার্য সঠিকভাবে পরিচালনা করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই একজন গবেষকের তত্ত্বের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান থাকা আবশ্যক । 

আর্টিকেলের শেষকথাঃ তত্ত্বের বৈশিষ্ট্য সমূহ সংক্ষেপে লেখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম তত্ত্বের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post