সমাজ গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা সংক্ষেপে লেখ Composition

সমাজ গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা সংক্ষেপে লেখ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সমাজ গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা সংক্ষেপে লেখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সমাজ গবেষণায় তত্ত্বের অবদান আলোচনা কর।

সমাজ গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা সংক্ষেপে লেখ
সমাজ গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা সংক্ষেপে লেখ

সমাজ গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা সংক্ষেপে লেখ

  • অথবা, সমাজ গবেষণায় তত্ত্বের অবদান আলোচনা কর।
  • অথবা, সমাজ গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা বর্ণনা কর।

উত্তর ভূমিকা : তত্ত্ব শব্দটি সামাজিক গবেষণায় একটি বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হলেও মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে রয়েছে এর বহুল ব্যবহার। যেকোনো ধরনের সামাজিক গবেষণা পরিচালনার অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে তত্ত্ব। তত্ত্বের রয়েছে কিছু স্বতন্ত্র ভূমিকা বা তাৎপর্য যা বিষয়টিকে ভিন্নতা প্রদান করেছে।


সমাজ গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা : বিজ্ঞানের বিকাশের ক্ষেত্রে তত্ত্বের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তত্ত্বের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বা সামাজিক প্রপঞ্চ সম্পর্কে সাধারণীকরণ করা হয়ে থাকে। 

সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে তত্ত্বের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তত্ত্ব ছাড়া গবেষণা পরিচালনা সম্ভব নয়। নিম্নে তত্ত্বের ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো :

১. তত্ত্বের প্রয়োগ ভূমিকা : বিজ্ঞানের জগৎ ব্যাপক ও বিচিত্র। এ ব্যাপক, বিচিত্র তথ্য ভাণ্ডার হতে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা তার ক্ষেত্র নির্দিষ্ট করতে পারে না। এক্ষেত্রে তত্ত্ব সংজ্ঞায়নের মাধ্যমে বিজ্ঞানকে নির্দিষ্ট করে তথ্যসংগ্রহ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।

২. ধারণায়ন ও শ্রেণীকরণে তত্ত্বের ভূমিকা : প্রতিটি বিজ্ঞানের পরীক্ষানিরীক্ষার একটি নিজস্ব জগৎ থাকে। এ জগৎ সৃষ্টি করে একটি নির্দিষ্ট শব্দ ভাণ্ডার। এই শব্দ ভাণ্ডারগুলো যতক্ষণ পর্যন্ত সুবিন্যস্তভাবে প্রকাশ করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তা বিজ্ঞান হবে না। 

এক্ষেত্রে তত্ত্ব প্রাসঙ্গিক বিষয়কে নিয়মিত, শ্রেণিবন্ধ, সুশৃঙ্খল ও সুবিন্যস্তভাবে শব্দ ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করে ।

৩. ঘটনার শ্রেণীকরণে তত্ত্বের ভূমিকা : তত্ত্ব সংক্ষেপকরণের মাধ্যমে ঘটনার সংক্ষিপ্ত পরিচিত আমাদের সামনে তুলে ধরে। তত্ত্বের এরকম সংক্ষেপকরণ দুভাগে হয়ে থাকে। যথা : 

ক. অভিজ্ঞতাভিত্তিক সংক্ষেপকরণ এবং 

খ. প্রস্তাবনার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণের মধ্যে সংক্ষেপকরণ।

৪. ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণীকরণে তত্ত্বের ভূমিকা : তত্ত্ব বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করে থাকে। অর্থাৎ তত্ত্ব যখন বিভিন্ন ঘটনা সংক্ষিপ্ত করে ও তাদের মধ্যকার সম্পর্ক উপস্থাপন করে তখন স্বাভাবিকভাবেই এ সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বাণীও গড়ে ওঠে। আর এর ওপরই বিজ্ঞানের সাফল্য নির্ভর করে।

৫. জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা চিহ্নিতকরণে তত্ত্বের ভূমিকা : তত্ত্ব জ্ঞানের মধ্যে কোনো শূন্যতা থাকলে তা চিহ্নিত করে। তত্ত্ব যেহেতু জ্ঞান ঘটনাগুলোকে সংক্ষিপ্ত করে এবং এ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করে তাই এসব ক্ষেত্রে অনুদঘাটিত দিক সম্পর্কে তত্ত্ব অনুসন্ধানের দিকনির্দেশনা করে ।


উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক গবেষণা ও তত্ত্ব দুটি অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়। তত্ত্ব ছাড়া কোনোভাবেই গবেষণা কার্যসম্পাদন করা সম্ভব নয়। 

গবেষণার বিষয় নির্ধারণ থেকে ফলাফল পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ই একটি তাত্ত্বিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। তই গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সমাজ গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা সংক্ষেপে লেখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সমাজ গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post