চলকের প্রকারভেদ সংক্ষেপে লেখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো চলকের প্রকারভেদ সংক্ষেপে লেখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের চলকের প্রকারভেদ সংক্ষেপে লেখ।
চলকের প্রকারভেদ সংক্ষেপে লেখ |
চলকের প্রকারভেদ সংক্ষেপে লেখ
উত্তর ভূমিকা : সামাজিক গবেষণার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো চলক। চলকের মান সদা পরিবর্তনশীল। যেকোনো গবেষণা নমুনা সমগ্রকের এককগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য, (যেমন— ওজন, উচ্চতা, ধর্ম, বর্ণ ইত্যাদি) বিদ্যমান । তবে গবেষণার প্রয়োজনে চলককে কতকগুলো ভাগে বিভক্ত করা হয়ে থাকে ।
চলকের প্রকারভেদ : একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে চলকের কয়েকটি প্রকারভেদ রয়েছে। নিম্নে চলকের প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো :বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে : বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে চলক প্রধানত ২ প্রকার । এগুলো হলো :
১. গুণবাচক চলক : যেসব চলককে সরাসরি সংখ্যাতাত্ত্বিকভাবে উপস্থাপন করা যায় না এবং গুণবাচক বৈশিষ্ট্যের প্রতিনিধিত্ব করে তাকে গুণবাচক চলক বলা হয়।
অন্যকথায়, যে সকল চলকের মানগুলো পরিমাপ বা গণনা করা যায় না, অর্থাৎ সংখ্যায় প্রকাশ করা যায় না কিন্তু গুণবাচক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে প্রকাশ করা যায় তাকে গুণবাচক চলক বলে ।
২. সংখ্যাবাচক চলক : যে চলকের মানগুলো পরিমাপ বা গণনা করা যায়, অর্থাৎ সংখ্যায় প্রকাশ করা যায় তাকে সংখ্যাবাচক চলক বলে। অন্যভাবে বলা যায়, সংখ্যাবাচক চলক বলতে আমরা সেই চলককে বুঝি, যাকে সংখ্যার মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায় বা সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়।
পরিমাণবাচক চলককে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যথা :
i. বিচ্ছিন্ন চলক : সাধারণত যে চলক একটি নির্দিষ্ট সীমার উচ্চ ও নিম্নের মধ্যে বিভাজিত মান উল্লেখ করে এবং যার মধ্যে কোনো বিচ্ছেদ থাকে না তাকে বিচ্ছিন্ন চলক বলে। এ ধরনের চলককে ভেঙে প্রকাশ করা সম্ভব। এ ধরনের চলকের নির্দিষ্ট মানটি সংখ্যায় প্রকাশ করা যায়।
ii. অবিচ্ছিন্ন চলক : যে চলকের মান কোনো পৃথক সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা যায় না, কিন্তু কোনো সীমা দ্বারা প্রকাশ করা যায় তাকে অবিচ্ছিন্ন চলক বলে। অন্যভাবে বলা যায়, অবিচ্ছিন্ন চলক বলতে সেই চলককে বুঝায়, যাদের মাত্রা একটি নির্দিষ্ট পরিসরের মধ্যে থাকে এবং সংখ্যায় প্রকাশ করা যায়।
পদ্ধতিগত দিক থেকে : পদ্ধতিগত দিক থেকে চলক তিন প্রকার । যথা :
১. স্বাধীন চলক : যে চলক নিজে অন্য কোনো চলক দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে অন্য চলককে প্রভাবিত করে তাকে স্বাধীন চলক বলে । এ ধরনের চলক অন্য কোনো চলকের প্রভাব ছাড়াই ঘটনার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
২. নির্ভরশীল চলক : যে চলক অন্য কোনো চলকের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না এবং স্বাধীন চলকের প্রভাবে পরিবর্তিত হয় তাকে নির্ভরশীল চলক বলে। নির্ভরশীল চলকের কোনো প্রত্যক্ষ প্রভাব বা নিয়ন্ত্রণ থাকে না ।
৩. নিয়ন্ত্রিত চলক : যে চলক স্বাধীন ও নির্ভরশীল,চলককে প্রভাবিত করে বা বিভিন্ন চলকের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে চলে তাকে নিয়ন্ত্রিত চলক বলে।
এ চলক সাধারণত স্বাধীন ও নির্ভরশীল চলকের মাঝামাঝি অবস্থান করে আবার দুয়ের মধ্যে সংযোগও রক্ষা করে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বৈজ্ঞানিক তথা সামাজিক গবেষণায় গবেষক বিভিন্ন ধরনের চলকের মাধ্যমে বিভিন্ন উপাত্ত উপস্থাপন ও বিশ্লেষণ করেন। চলকগুলো সদা পরিবর্তনশীল।
চলক শব্দটি বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের নির্দেশ করে, যা একটি গণসংখ্যা নিবেশনে পরিমাণগত বা বিস্তৃতভাবে সূচকগুলোই গবেষণায় চলক বলে প্রতীয়মান হয় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ চলকের প্রকারভেদ সংক্ষেপে লেখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম চলকের প্রকারভেদ সংক্ষেপে লেখ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।